Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

Image
Title
The tomb of Bir Shrestha Ruhul Amin, one of the 7 Bir Shrestha, is located in Naihati Union No. 03 on the banks of the Rupsa River.
Details

১৯৭১ সালের ৬ই ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা যশোর সেনানিবাস দখলের পর ১০ই ডিসেম্বর দুপুর ১২টার দিকে পাকিস্তানি নৌ-ঘাটিঁ পি.এন.এস. তিতুমীর দখলের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের  ’পদ্মা’, ‘পলাশ’ এবং ভারতীয় মিত্রবাহিনীর গানবোট ‘পানভেল’ খুলনার  শিপইয়ার্ডের কাছে এলে পাকিস্তানি জঙ্গি বিমান গুলো কে দেখা যায় আকাশে । তখন বাংলাদেশিরা শত্রু পক্ষের মনে করে গুলি করার জন্য মুক্তিযোদ্ধারা কমান্ডারের কাছে অনুমতি চাই । ভারতীয় বিমান মনে করে অভিযানের সর্বাধিনায়ক ক্যাপ্টেন মনেন্দ্রনাথ গুলি বর্ষন করতে না করে । কিছু ক্ষনের মধ্যে অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে গুলি করতে থাকে এবং  ’পদ্মা’ এর ইঞ্জিন রুমে আঘাত করে ইঞ্জিন বিধ্বস্ত করে। অনেক নাবিক হতাহত হয়। লে. কমান্ডার রায় চৌধুরী নাবিকদের  জাহাজ ত্যাগের নির্দেশ দেন। এই বিষয়ে রুহুল আমিন ক্ষিপ্ত হয় এবং যুদ্ধ চালিয়ে যাবার নির্দেশ দেন। রুহুল আমিন নির্দেশ দিয়ে ইঞ্জিন রুমের দিকে আসে । অপর দিকে কমান্ডারের কথা অমান্য করতে পারে নাই। কিছু ক্ষনের মধ্যে পাকিস্তানের বিমানগুলো উপূর্যপুরি বোমাবর্ষণ করে পলাশের ইঞ্জিনরুম ধ্বংস করে দেয়। রুহুল আমিন কোন মতে  রূপসা নদীতে ঝাপিয়ে পড়ে। অনেক কষ্ট করে পাড়ে উঠে আসেন । কিন্তু পাকিস্তানের দূসর রাজাকারের দলেরা এই মহান মুক্তি যোদ্ধা কে  বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুচিয়ে হত্যা করে। তার মৃত দেহ বেশ কিছুদিন পড়ে থাকে ।
মুক্তি যুদ্ধে অবদানের জন্য মুক্তি যুদ্ধের সর্বচ্চো খেতাব বীরশ্রেষ্ট ঊপাধিতে ভূষিত করা হয়।