Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

দর্শনীয় স্থান নৈহাটি ইউনিয়নের

 

রূপসার ঐতিহ্য

১. রূপসা নদীর পাড় ও রূপসা সেতু।

রূপচাঁদ সাহার কাটা খালটি আজ বিশাল রূপসা নদী। যা দেখে জীবনানন্দ দাশ মুগ্ধ হয়ে লিখেছিলেন  ‘‘রূপসার ঘোলা জলে হয়তো কিশোর এক সাদা ছেড়া পালে  ডিঙ্গা  বায়;  রাঙা   মেঘ

 

সাঁতরায়ে অন্ধকারে আসিতেছে নীড়ে ’’ সেই রূপসা নদীর

ওপর একটি সেতু  হয়েছে  লোকে  বলে  রূপসা  সেতু।

পোশাকি নাম খানজাহান আলী সেতু। সেতুর পশ্চিম প্রামেত্ম

নদীর পাড়ে নগরজীবনে হাঁপিয়ে  ওঠা মানুষ  ভিড়  জমায়

প্রতিদিন। বিশেষ করে শুক্রবার জায়গাটি হয়ে ওঠে মানুষের

 মিলনমেলা।

 

 

 

২. বীর শ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন ও বীর বিক্রম মহিবুল্লাহর সমাধি

১৯৭১ সালের ৬  ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা যশোর সেনানিবাস দখলের পর ১০  ডিসেম্বর দুপুর ১২ টার দিকে পাকিসত্মানি নৌ-ঘাটি বি,এন,এস তিতুমীর  দখলের  উদ্দেশ্যে  বাংলাদেশের  পদ্মা,

পলাশ,  এবং  ভারতীয়  মিত্রবাহিনীর   গানবোট  ‘‘পানভেল’’

খুলনার শিপইয়ার্ডের  কাছে  এলে   পাকিসত্মানী  জঙ্গী  বিমান

গুলোকে  দেখা   যায়    আকাশে। তখন  বাংলাদেশীরা শত্রম্ন

পÿÿর মনে করে গুলি করার জন্য  মুক্তিযোদ্ধারা  কমান্ডারের

কাছে অনুমতি  চায়।  পাকিসত্মানী  বিমান মনে  করে অভিযানের

সর্বাধিনায়ক ক্যাপ্টেন মনেন্দ্রনাথ গুলি করতে থাকে এবং পদ্মা

এর ইঞ্জিন রম্নমে আঘাত করে  ইঞ্জিন  বিধ্বসত্ম  করে।  অনেক

নাবিক হতাহত হয় । লে.  কমান্ডার  রায় চৌধুরী  নাবিকদের

জাহাজ ত্যাগের নির্দেশ দেন।  এবং যুদ্ধ চালিয়ে যাবার নির্দেশ দেন। রম্নহুল আমিন নির্দেশ

 দিয়ে ইঞ্জিন রম্নমের দিকে আসে। অপর দিকে কমান্ডারের কথা

 অমান্য করতে পারে নাই। কিছুÿনের মধ্যে পাকিসত্মানের বিমানগুলো উপুর্যপুরি বোমাবর্ষন করে পলাশের ইঞ্জিনরম্নম ধ্বংস করে দেয়। রম্নহুল আমিন কোন মতে রূপসা নদীতে ঝাপিয়ে পড়ে। অনেক কষ্ট করে পাড়ে উঠে আসেন। কিন্তু পাকিসত্মানের দুসর রাজাকারের দলেরা এই মহান মুক্তিযোদ্ধাকে বেনয়েট দিয়ে খুটিয়ে হত্যা করে। তার মৃত দেহ বেশ কিছুদিন পড়ে থাকে। মুক্তি যুদ্ধে অবদানের জন্য মুক্তিযুদ্ধের সর্বচ্চো খেতাব বীরশ্রেষ্ট উপাধিতে ভূষিত করা হয়।